নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। একই মহাসড়কের অন্য অংশ অবরোধ করেছে ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় একচল্লিশ হাজার কর্মী রয়েছে। ওই কারখানার শ্রমিকেরা গত বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক অবরোধ করে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা চন্দ্রা -নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। রাতে শঅবরোধ তুলে নিলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় ৫ম দিনের মতো আজ সকাল ১০টা থেকে পুনরায় ওই সড়ক অবরোধ করেছে।অপরদিকে, মহানগরীর কাশিমপুর থানার জিরানী এলাকায় ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার (ডরিন গার্মেন্টস লিমিটেড, ডরিন অ্যাপারেলস ও ডরিন ওয়াশিং কারখানা) শ্রমিকেরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। শ্রমিকদের দাবি পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল সোমবার সকালে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে তাদের এই অবরোধ। সেই সঙ্গে ১৩ জন অভিযুক্ত স্টাফকে বহিষ্কার ও শতাধিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে পুনর্বহালের দাবিও রয়েছে তাদের। ওই কারখানাগুলোয় ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছে।শ্রমিকেরা বলছে, বকেয়া বেতন প্রদানে আশ্বাস না পেলে এবং কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি আদায় না হলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যাবে না।সড়ক অবরোধ করায় ওই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে যাতায়াত করছেন। উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প গাজীপুরের ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করছে। স্থানীয়রা সড়ক সচল করার দাবি জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। শুক্রবার বিরতি দিয়ে শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত লাগাতার সড়ক অবরোধ করছে তারা।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত এগারোটার পর সড়ক ছেড়ে দিলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ সকালে আবার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছে। ঘরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।