আন্তজার্তিক ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জিততে পারেন তার একটি পূর্বভাস দিয়েছেন পোলিং বিশেষজ্ঞ নেট সিলভার। ভোটগ্রহণ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে একটি নতুন নির্বাচনের পূর্বাভাস দেন।সিলভারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের এখন ইলেক্টোরাল কলেজে জয়ের ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৪৯.৬ শতাংশ ভোট রয়েছে।পূর্বাভাস অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস ২৭১টি ইলেক্টোরাল কলেজ পেতে পারেন এবং ট্রাম্প পেতে পারেন ২৬৭। ইলেক্টোরাল কলেজে টাই হওয়ার ০.৩ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়।টাই হলে নির্বাচন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে চলে যাবে, যেখানে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিতে হবে এবং তারপরে কে রাষ্ট্রপতি হবেন তা ভোট দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সিলভার।২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৪৯টির ফলাফলের সঠিক পূর্বাভাস দেয়ার মাধ্যমে ‘পূর্বাভাস গুরু’ বা ‘পোলিং গুরু’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন সিলভার। ২০১২ এবং ২০২০ নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন তিনি।সিলভারের সোমবারের পূর্বাভাসে দেখা গেছে, ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের জন্য ফেভারিট। হ্যারিসের ৪৯.২ শতাংশের বিপরীতে তার ইলেক্টোরাল কলেজ জয়ের ৫০.৪ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগের দিন কমলা হ্যারিসের ৪৭ শতাংশের বিপরীতে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ।সিলভারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে হ্যারিস নির্বাচনে জয়ের জন্য ফেভারিট ছিলেন। তবে অক্টোবরের শুরুতে ভাইস প্রেসিডেন্ট তার সম্ভাবনা কমেছে। কারণ ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ দুদোল্যমান রাজ্যগুলোতে এগিয়েছেন। তারপর থেকে কার্যত দৌড় টাই হয়ে গিয়েছে।সিলভার তার সাম্প্রতিকতম নিউজলেটারে লিখেছেন, ‘যখন আমি বলি যে এই বছরের রাষ্ট্রপতি দৌড়ের সম্ভাবনা ৫০/৫০, তখন আমি অত্যুক্তি করছি না।’ অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদায় ট্রাম্পের জয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে হ্যারিস মিশিগান ও উইসকনসিন এবং পেনসিলভানিয়া কার্যত টাই হয়ে গেছে।অন্যান্য পোলিং এগ্রিগেটররাও দেখিয়েছে প্রতিযোগিতাটি হাড্ডাহাড্ডি হবে, তবে হ্যারিসকে কিছুটা এগিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, ফাইভ থার্টি এইটের পূর্বাভাসে দেখা গেছে, ট্রাম্পের ৪৯ শতাংশের বিপরীতে হ্যারিসের ৫০ শতাংশ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। হ্যারিসের ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের বিপরীতে ট্রাম্পের ২৬৮ ভোট। ইকোনমিস্টের পূর্বাভাসেও একই পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে।এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসির জরিপে দেখা গেছে, হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে এক পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও কমলা হ্যারিসকে এগিয়ে রাখা হয়েছে।তবে সব জরিপ হ্যারিসের জন্য এতটা ইতিবাচক ছিল না। ৩ থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে পরিচালিত অ্যাটলাস ইন্টেলের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিটি সুইং স্টেটে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন, অ্যারিজোনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ৫ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত এশেলন ইনসাইটসের এক জরিপে দেখা গেছে, পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন, যা জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, সাতটি সুইং স্টেটই এখনও অনিশ্চিত রয়েছে এবং যে কেউ জিততে পারে।ফাইভ থার্টি এইট সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভোট কাছাকাছি হলেও এর মানে এই নয় যে সামগ্রিক ফলাফল খুব কাছাকাছি হবে। জরিপকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার অর্থ এই নয় যে ফলাফল খুব কাছাকাছি হবে।’