নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রের সংস্কারের পাশাপাশি কিছু মৌলিক বিষয়ে কাজ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।আজ শনিবার বিকালে ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সাথে সংলাপে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।সংলাপ শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আমরা আজ এসেছিলাম দেশ ও জাতির প্রয়োজনে। এই সরকার একটা নির্দলীয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা দেশ শাসনের জন্য আসেননি। দেশ শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য এসেছেন। তাদের কাজ হচ্ছে জাতিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়া। এজন্য তারা কিছু মৌলিক বিষয়ে কাজ করবেন, কিছু সংস্কার করবেন, সেই বিষয়েই আজ আমরা কথা বলেছি।’তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির সামনে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা সেদিন জাতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং আমাদের চিন্তাগুলো তুলে ধরবো।’এ সময় ডা. শফিকুর রহমান জানান, এই সংলাপে দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে। দেশের জনগণ এবং সরকার একসাথে মিলে আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কিভাবে আইনশৃঙ্খলার আরও উন্নয়ন করা যায় এবং সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ব্যাপারে জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখা যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা পোষণ না করে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটা ভাল জায়গায় নিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আমরা আশা প্রকাশ করছি যে, তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) নাতিদীর্ঘ সময়ের মধ্যে জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন। আমরা সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চেয়েছি। এই যৌক্তিক সময়টা কী হবে, এটা নিয়ে অচিরেই আমরা কাজ করবো এবং এভাবেই আমরা সামনের দিকে আগাতে চাই।’আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমীর বলেন, এখানে সরকারের সঙ্গে জনগণের একটা পার্টনারশিপ থাকবে। জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনগণ যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে আশা করা যায়, একটি অভূতপূর্ব দুর্গাপূজা দেশের হিন্দু ধর্মের ভাইবোনেরা উদযাপন করতে পারবেন।জামায়াতের আমীরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।