নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলাদের স্বপদে বহাল রেখে কোনোভাবেই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। অবিলম্বে এই বিতর্কিত আমলাদের অপসারণ করতে হবে।তিনি বলেন, এখনো আমরা দেখতে পাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের মূল এজেন্ডা বাংলাদেশ থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ চিরতরে মুছে ফেলা, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনীতিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া। তারেক রহমান যেন আর কোনোদিন বাংলাদেশে না আসতে পারে। তাই এই বিতর্কিত দালাল পতিত স্বৈরাচারী হাসিনার আমলাদেরকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাগ্রত বাংলাদেশ’র উদ্যোগে জনপ্রশাসনে শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলাদের অপসারণের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির এমন নেতা নেই যাদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়ে কন্ঠ স্তব্ধ করতে চাওয়া হয়নি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ শেখ হাসিনা নেই কিন্তু বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশেই আছি। দেশের কথা, জনগণের কথা বলছি।বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের বিতর্কিত জজদের দ্বারা সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিতর্কিত জজরা এখনো কীভাবে বহাল তবিয়তে চাকরিতে বহাল রয়েছেন তা দেশবাসী জানতে চায়।তিনি বলেন, মইন ইউ আহমেদের বিচারও বাংলাদেশে হবে। তিনি সেদিন ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার জনগণ তা হতে দেয়নি। দেশের জনগণ চায় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই এই দেশ পরিচালিত হবে। তিনি ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। যার খেসারত দেশের ১৮ কোটি মানুষকে দিতে হয়েছে। আজ কোথায় উনার হাসিনা? গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার হাসিনা পালিয়েছে। তাকেও দেশে এনে বিচার করা হবে।জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিম এর সভাপতিত্বে ও জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ভূইয়া সবুজ, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি লেখক ও গবেষক কালাম ফয়েজী, জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ উদ্দিন রুমী, প্রতিবাদ’র সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আবু হায়দার মো. সিদ্দিকুর রহমান, রাজু আহমেদ শাহ, প্রতিবাদ’র সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন, এস.এম কমর উদ্দিন, মো. কবির হোসেন।