শীর্ষ খবর ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সালমান ও আনিসুল হক আবার রিমান্ডে

post

নিউজ ডেস্ক

টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা বৈদেশিক মুদ্রা আইনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. রাশিদুল হাসান। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক মো. সজীব মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের দুই জনের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোপন সূত্রে জানতে পারেন নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় জড়িত আসামি সদরঘাট ২নং মসজিদ সংলগ্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখে লেনদেন করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করলে হাতে-নাতে আটক হন। পরে তারা তাদের নাম-ঠিকানা জানায়। আটকের পর আসামি আনিসুল হকের কাছে থাকা ব্যাগে ১৭ হাজার ৫৯২ মার্কিন ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুর ডলার এবং সালমান রহমানের কাছ থেকে ১২ হাজার ৬২৪ মার্কিন ডলার, ৬২০ ফ্রান্সের মুদ্রা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাড়ে ৮ হাজার মুদ্রা, ১১ হাজার ৬৫০ সৌদি রিয়াল, ১৫০ পাউন্ড ও ১৩৩২ ইউরো এবং বাংলাদেশি ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিদের জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেন। আসামিরা জ্ঞাতসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও অনুমোদন ব্যতিরেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা নিজ হেফাজতে রেখে বৈদেশিক মুদ্রা আইনে অপরাধ করেছেন।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner