চব্বিশের দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি নিয়ে ঢাকায় একটি স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার বিশেষ আবেদন জানাচ্ছি ডক্টর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। জাদুঘরটির দেয়ালে দেয়ালে খচিত থাকুক সাহসী তারুণ্যের বীরত্বের গৌরবগাঁথা। কক্ষে কক্ষে সাজানো থাকুক আন্দোলনের সচিত্র ইতিহাস। দর্শনার্থীদের জন্য একটি ডকুমেন্টারী দেখার সুযোগ থাকুক যেটিতে দেখানো হবে স্বৈরশাসকের সকল অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়ে কীভাবে ছাত্র জনতা ছিনিয়ে এনেছে অবিশ্বাস্য বিজয়। বাংলাদেশ ও বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো সেখানে স্থান পাক। স্থান পাক আন্দোলনকে ঘিরে রচিত কবিতা ও গান। আর একটি বিশেষ কক্ষে ছবিসহ উৎকীর্ণ থাকুক বীর শহীদদের নাম ও পরিচয়। জাদুঘরটির সামনে নির্মাণ করা হোক শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধ'র সুউচ্চ ভাস্কর্য, যে ভাস্কর্যগুলো আমাদের জানান দিয়ে যাবে কীভাবে স্বৈরাচারের গুলিকে পরোয়া না করে বুক চেতিয়ে স্বদেশের মু্ক্তির আকাঙ্খায় জীবনকে উৎসর্গ করেছিল একটি প্রজন্ম। আসুন দুনিয়া কাঁপানো তেইশ দিনকে ধরে রাখি শ্রদ্ধায়, ভালবাসায়! গৌরব ও গর্বের এই কালজয়ী বিপ্লবের কথা পৌঁছে দিই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের অন্তরে। প্রতিবছর ৫ই আগস্ট আমরা জাদুঘরটিতে প্রাণে প্রাণে মিলিত হবো এই ঐতিহাসিক বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য; চব্বিশের বীর শহীদদের স্মরণ করার জন্য।
সারওয়ার-ই আলম ইলফোর্ড, লণ্ডন ১৮ই আগস্ট ২০২৪