জামাত-শিবির নিষিদ্ধ : যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমর্থন

post

লন্ডন: জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখা। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, দেরিতে হলেও এই সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক সংবাদ।

সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা ও সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মের নামে যে হত্যা, নির্যাতন ও নৈরাজ্যের অপরাজনীতি চালিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী জামাত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে অপরাজনীতির পাশাপাশি মৌলবাদী অর্থনীতির যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে, সে বিষয়েও তদন্ত করতে হবে কমিশনকে।

 বিবৃতিতে সাম্প্রতিক কোটাবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে বলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা। ছাত্রদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে যারা কোমলমতি ছাত্রদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন, রাজনৈতিক মুখোসধারী সেইসব দুর্বৃত্তেরও শাস্তি চাই আমরা।

 বিবৃতিতে নির্মূল কমিটি নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের দুঃখজনক ঘটনাগুলোর প্রকৃত ও পূর্ণ বিবরণ না দিয়ে পক্ষপাতপূর্ণ অতিরঞ্জিত গুজব যারা প্রচার করছেন, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে দেশবাসীকে। এরা দেশে শান্তি চায়না, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করার মাধ্যমে ছাত্রদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে ওরা ফায়দা হাসিল করতে চায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ওরা পুলিশের গুলিতে সংগঠিত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার, কিন্তু বিল্ডিং থেকে নিচে ফেলে ছাত্র হত্যা, পুলিশ হত্যা করে ওভারব্রিজে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখার বিরুদ্ধে কিছু বলে না। এদের চোখে দেশের সম্পদ ধ্বংসযজ্ঞ কোন অপরাধ নয়, নিজ পরিবার সন্তান নিয়ে নিরাপদ দুরত্বে বসে যারা দেশের কোমলমতি সন্তানদের দেশ ধ্বংসযজ্ঞে রাস্তায় নেমে পুলিশের গুলির সামনে অবস্থান নিতে প্ররোচনা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই তথাকতিত ঐসব স্বঘোষিত “জাতির বিবেক”দের।

 

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner