ইউরোপ ২২ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে কেনো 'ইন্ডিয়া আউট' আন্দোলন ?

post

ইতালির ভেনিস  থেকে ফিয়রিনা মাছুম : বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে থেকেই ইন্ডিয়া শত্রু সুলভ আচরণ করে আসছে। তারা ফারাক্কাসহ দুই দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় সব নদীতে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে বাঁধ দিয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি ধ্বংশ করেছে। তারা বর্ষার সময় নদীর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি করে। এতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তারা বাংলাদেশের সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মানুষ খুন করে। ফেলানি নামের এক কিশোরিকে হত্যা করে সীমান্তের কাটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিলো। তারা ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক পাঠিয়ে বাংলাদেশের যুুব সমাজকে ধ্বংশ করছে। তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি বাংলাদেশে রপ্তানি করে, কিন্তু বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল ইন্ডিয়ায় দেখতে দেয় না। তারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটসহ কোনো আন্তর্জাতিক সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকে না।

ইন্ডিয়ার ধর্মীয় সংখ্যা লঘু মানুষ মুসলিমদের তারা হত্যা করে। মুসলিমদের উপাসনালয় মসজিদ ভেঙ্গে দেয়। ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা বন্ধ করে দেয়। মুসলিম নারীদের নির্যাতন করে। গরুর গোস্ত খাওয়ার অপরাধে মুসলিমদের পিটিয়ে মেরে ফেলে।

এত কিছুর পরেও বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিবেশি দেশ হিসাবে বন্ধু দেশ ভেবে এসেছে এতদিন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের দেশের পণ্য গ্রহণ করেছে। চিকিৎসার জন্য তাদের দেশে ছুটে গেছে। ইন্ডিয়ার বৈদেশিক আয়ের ৪র্থ প্রধান দেশ হলো বাংলাদেশ। তাদের প্রায় ৫ লাখ মানুষ এখনো বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে চাকরি করে। তারা এসব করতে পারে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদি সরকারের সহযোগিতায়।

গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় চেপে বসে আছে এক ফ্যাসিবাদি সরকার। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংশ করেছে। তারা নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করে। বিরোধী দল নিধন করে। পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে। হত্যা করে। গুম করে। বাংলাদেশের সংসদে এখন কোনো বিরোধী দল নেই।

গত ৭ জানুয়ারীর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশে আরেকটি প্রতারণার নির্বাচন করেছে আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি সরকার। ওই নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আশা করেছিলো ইন্ডিয়া জনগণের পক্ষে থাকবে। গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে। শেখ হাসিনার প্রতি কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক চাপ সৃষ্ট করবে একটি ভালো নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু তারা তা করেনি। বরং ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংশ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সহযোগিতা করেছে।

ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ইন্ডিয়া বিরোধী ব্যাপক মনোভাব তৈরী হয়েছে। মানুষ ইন্ডিয়ার সরকারের উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট করবে। প্রবাস থেকে আমরাও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট আন্দোলনে সমর্থন জানাচ্ছি। যতোদিন ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদি সরকারে উপর থেকে সমর্থন তুলে  গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন না জানাবে, ততদিন এ আন্দোলন চলবে।

ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট করুণ, বাংলাদেশের পণ্য কিনুন।



আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner