নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।তিনি বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গীবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গীবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে বিএনপি মিথ্যা বললে জবাব তো দিতেই হবে। তারা মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুক। তাহলে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা গায়ে পড়ে কিছু বলতে যাব না।বিএনপি’কে ভাঙ্গার অভিযোগ নিয়ে এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোন দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী আছে। গত নির্বাচনে দেখেছেন প্রার্থিতা ফরম নিতে কত ভিড়। আওয়ামী লীগে কোন দুর্ভিক্ষ নেই।গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টির সৃষ্টি নিয়ে সরকারের ভূমিকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের এখানে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা প্রত্যেককে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়।আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নির্বাচনের আগে কিংস পার্টি খ্যাত বিএনএম’এ যোগদানের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে। নমিনেশন পার্টির কাছে চাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়েছেন। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না।প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া নিয়ে বিএনপি’র এক নেতার বক্তব্যর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ভারতকে বুঝিয়েছে। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। নির্বাচনও হয়েছে। বিএনপি’র বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাবে। এটা তো হতে পারেনা। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড নিয়ে মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। পৃথিবীর কেউ পারফেক্ট নয়। আমরাও সেই দাবি করি না। আমেরিকার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি নির্বাচিত না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজেই মানদণ্ড বোঝা মুশকিল।সড়ক পরিবহমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ২১ বছর সামরিক শাসক এবং তার অনুসারীরা ক্ষমতায় ছিল। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল না। গণতন্ত্রের নামে যারা ক্ষমতায় বসেছে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হ্যাঁ-না ভোট আরেকটা প্রহসন। যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য। সেখান থেকে অস্বাভাবিক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থেকেছে। কাজে আমাদের মানদণ্ড ভিন্নতর।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।