বাংলাদেশ ১১ মার্চ ২০২৪

যূথী এখনও গ্রেপ্তার হচ্ছেন না কেন?

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সংগঠিত অনভিপ্রেত ঘটনার জেরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী উত্তেজনা এবং আলাপ-আলোচনা। এই ঘটনার সূত্র ধরে ঘটনার বিরুদ্ধে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এ মামলায় বিএনপিপন্থি আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যরিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে ৪ দিনের রিমান্ডও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মামলার প্রধান আসামী নাহিদ সুলতানা যূথী এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি।পুলিশ বলছে যে, তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু তিনি পলাতক। তবে বিভিন্ন মহল মনে করেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি চায় তাহলে একজন পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা কোন বিষয় নয়। যূথীকে গ্রেপ্তার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্ধ রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এ নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে সে ঘটনায় নাহিদ সুলতানা যূথী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়। নির্বাচনের পর জোর করে নাহিদ সুলতানা যূথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলেও মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যূথী আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার স্বামী শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের সভাপতি। শেখ মনির জ্যেষ্ঠ সন্তান। ধারণা করা হচ্ছে যে, নাহিদ সুলতানা যূথীর বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুঝে শুনে বিষয়টি করছে। একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে এটি নিয়ে দুই ধরনের মতামত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে, যূথী যে কান্ডটি করেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা উচিত। প্রথমত, যূথী আওয়ামী সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন না। তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। গত কয়েকটি নির্বাচনেই তিনি আওয়ামী সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিশেষ কারণে তাকে প্রার্থী করা হয়নি।ধারণা কর হয়, আওয়ামী লীগেরই একটি প্রভাবশালী অংশ যূথী যেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে আসতে না পারেন সেজন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। যূথী এনিয়ে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেও অভিযোগ করেছেন। এবার তিনি আওয়ামী প্যানেলে না থেকে সরাসরি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। আর শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলকে তিনি প্রভাবিত করেছেন বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছে। যখন এই ঘটনা ঘটেছিল তখন যুবলীগের অনেকই দেখা গিয়েছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দু-একজন জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, যেহেতু এ ঘটনাটি ঘটে গেছে এবং নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষিত হয়েছে তাই এ বিষয়টি আর বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন নেই। কারণ যারা শেখ ফজলে শামস পরশকে চিনেন তারা জানেন যে, তিনি একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ এবং তিনি শিক্ষিত, মার্জিত ও রাজনীতিতে একটি ভিন্ন ধারার ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে এরকম বিবেচনায় যেটি হয়ে গেছে সেটিকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে একটি পরামর্শ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের কোন কোন মহল। আর সেই কারণে যূথীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। তবে যেহেতু একটি সুনির্দিষ্ট মামলা হয়েছে, সেহেতু নাহিদ সুলতানা যূথীকে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে সবকিছু করতে হবে। তাকে জামিন গ্রহণ করতে হবে এবং জামিন গ্রহণের পর হয়তো এ মামলার বিষয়টি নিয়ে অন্যভাবে সুরহা করতে হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে গোড়ায় তার ওপর।


আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner