নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ গর্ভে থাকা কোনো শিশুরই লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোরভাবে মানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। এরপর গত ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে প্রায় চার বছর পর রায় এলো। রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, গর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ পেলে মাতৃগর্ভেই লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এতে গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটে।পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে, লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করলে তিন বছরের জেলের ব্যবস্থা আছে বলেও জানান রিটকারী। যদিও সম্প্রতি লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি নীতিমালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না।
নীতিমালায় বলা হয়েছে–
১. কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না।
২. এ বিষয়ে কোনোরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না।
৩. সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো ডাক্তার, নার্স, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, টেকনিশিয়ান কর্মীদের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে ট্রেনিং দেবে এবং নৈতিকতা ও পেশাগত আচরণ বিষয়ে ট্রেনিং দেবে।
৪. হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মেডিকেল সেন্টারগুলো এ সংক্রান্ত সব ধরনের টেস্টের ডাটা সংরক্ষণ রাখবে।
৫. হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মেডিকেল সেন্টারগুলো ডিজিটাল ও প্রিন্ট মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা এবং কন্যাশিশুর গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন মেসেজ প্রচার করবে।