নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আর পরম মমতায় সারাদেশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ সবাই তাদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।দিবসের প্রথম প্রহরেই শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। পরে মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তাদের পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন৷পরে তিন বাহিনীর প্রধানেরা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই এলাকা ত্যাগ করলে সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেয়া হয়। এরপর মধ্যরাত থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামে।বুধবার ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শুরু করেন। অনেকের পোশাক সজ্জাতেও রয়েছে ভাষা শহীদের প্রতি শোকের কালো রং।কণ্ঠে আছে সেই বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, গ্রামীণ ব্যাংক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাহফুজুল ইসলাম, ভারতের শান্তিপুর থেকে ওপারের বাঙালিরা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জেএসডি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অপেক্ষমাণ সারিতে আরও অনেক দল এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ রয়েছেন।