বাংলাদেশ ০৪ জানুয়ারী ২০২৪

কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে জানালেন রেজা কিবরিয়া

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ অত্যাসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশের ওপর কঠোর স্যাংশন আসতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি এমনও জানিয়েছেন, কিছু লোক কান্নায় ভেঙে পড়বে। তাদের কী বিপদ হবে তারা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে। সরকার এবং সরকারের দালালরা সবাই বিপদে পড়বে।একটি গণমাধ্যমে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আশঙ্কার কথা জানান গণ অধিকার পরিষদের সদ্য পদত্যাগী আহ্বায়ক ড. রোজা কিবরিয়া।ভোটের পর কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ৭ জানুয়ারির পর কী হবে সেটা আল্লাহতায়ালা ছাড়া নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারবে না। অনেক কিছু হতে পারে, পরিস্থিতি পালটে যেতে পারে। ৭ তারিখের পর কী ঘটবে সেটা আমাদের একটা ধারণা আছে। আমাদের মনে হয়, দেশ খুব কঠোর কঠোর স্যাংশন পড়বে। এই স্যাংশন নিয়ে আমি খুবই দুঃচিন্তায় আছি। কারণ দেশের একটা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হবে। যেটা আমি চাচ্ছি না কিন্তু সেটা হয়ে যাবে। কিছু করার নাই। কারণ সরকার দেশের জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, আমরা সবাই বিপদে পড়ব।তিনি বলেন, আমি মনে করি জিএসপি তুলে দিতে পারে। যার কারণে আমাদের গামেন্টর্স খাতে সমস্যা হবে। শান্তিরক্ষী মিশনে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। জাতিসংঘে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে যে, তারা কঙ্গোর মতো দেশে গিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করে আর নিজের দেশে সুষ্ঠু ভোট করতে পারে না; তাদের কী দরকার। জাতিসংঘে সেনাবাহিনী এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।দেশের পরিস্থিতি কোনদিকে যেতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে রেজা কিবরিয়া বলেন, পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে এটা তো ডিবির হারুনের চেহারা দেখলেই বুঝা যায়। কিছু লোক কান্নায় ভেঙে পড়বে। তাদের কী বিপদ হবে তারা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে। সরকার এবং সরকারের দালালরা সবাই বিপদে পড়বে। আইনের শাসন যদি ফিরে আসে তাহলে তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।এই অর্থনীতিবিদের কাছে প্রশ্ন ছিল- দেশের ক্ষতির যে আশঙ্কা তারা করছেন এটা কেন? তিনি বলেন, এটা তো স্যাংশনের কারণে ক্ষতি হতে পারে। অর্থনীতির কিছু সমস্যা তো এখনই দাঁড়িয়েছে যেমন রিজার্ভ সংকট। গামেন্টর্সের ওপর হুমকি। আমি অর্থনীতির বিষয়ে বেশি চিন্তিত না। কারণ ২-৫ বছরের মধ্যে এগুলো সব ঠিক করা যাবে। আমার দুঃচিন্তা হলো যে সমস্যাগুলো আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে যেমন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অনেক ঋণ আছে। আমার দেশের গরিব মানুষের কর থেকে সেগুলো পরিশোধ করা হবে। এছাড়া শিক্ষা খাতে যে ক্ষতি করেছে এটা ১৫-২০ বছরে ঠিক করা যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। এটা সবচেয়ে কঠিন সমস্যা। অর্থনীতি বড় কোনো সমস্যা না। কারণ এগুলো ২ থেকে ৫ বছরে ঠিক করা যাবে।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner