নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এদিন সকালে তিনি বঙ্গভবন থেকে এই ভোট দেবেন। বঙ্গভবন সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি এই ব্যালট খুলবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ ও কষ্টসাধ্য-এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আইনের বিধান রয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এই বিধান চালু হয়। আইনে এমন সুযোগ থাকলেও এই বিধানের তেমন প্রয়োগ হয় না। এবার রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে এ বিষয়টিকে জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যাপোরে প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নেয়।জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন তার জন্মস্থান পাবনার ভোটার। ঢাকা থেকে সেখানে ভোট দিতে গেলে প্রটোকল দেওয়াসহ নানা জটিলতা এবং স্থানীয় মানুষের কষ্টের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আইনে এ ধরণের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকায় রাষ্ট্রপতি দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তা কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপতির দফতর সূত্রে জানা গেছে।এর আগে গত ২১ নভেম্বর এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের কোন জেলখানায় বা অন্য কোন আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য তার নির্ধারিত ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না থাকতে পারলে এবং বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি যদি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে চায় তাহলে তাকে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে:
(১) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।
(২) তিনি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য একটি ব্যালট পেপারের আবেদন করবেন এবং আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর উল্লেখ থাকবে।
(৩) রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন পাওয়ার পর ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম প্রেরণ করবেন। খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করত ‘সার্টিফিকেট অব পোস্টিং’ এর একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার ডাকযোগে পাঠানোর সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা- কর্মচারী পূরণ করবেন।
(৪) কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার পাওয়ার পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারটি তার কাছে পাঠানো খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিতে হবে। রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সাথে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাই কমিশনসমূহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।