বাংলাদেশ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায়: ওবায়দুল কাদের

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সারাদেশে কর্মসূচির নামে বিএনপি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি’র আগামীকালের কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম রুখে দিতে দেশের মানুষসহ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি করার অপচেষ্টাও চলছে। এতে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। এসব মোকাবেলা করার মতো রাজনৈতিক দৃঢ়তা আওয়ামী লীগের আছে।তিনি বলেন,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে। আওয়ামী লীগ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন গণতান্ত্রিক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো ও এ পথকে মসৃণ করার লক্ষ্যে আমরা বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সুতরাং নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোনো কারণ আমরা দেখছি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, জ্বালাও- পোড়াও, গুপ্ত হামলা করছে এদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।তিনি বলেন, এদেশে মানবাধিকারের ইতিহাস বড়ই ট্র্যাজিক। শুরু করি যদি ১৫ই আগস্ট এ সপরিবারে অবলা নারী, অবুঝ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বর্বরোচিত যে হত্যাকান্ড, এ ব্যাপারে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে তাদের অনেককেই দেখেছি নীরব। তাদের অনেকেই স্বৈরশাসকদের তাঁবেদারি করেছে। অথচ এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner