বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দিন-তারিখ দিয়ে কোনো আন্দোলন হয় না। আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাদেরকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করছি। খালেদা জিয়ার মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছি। আওয়ামী লীগকে চিরতরে বিদায় করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি ও পর্যাপ্ত শক্তি নিয়েই আমরা মাঠে নামব।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
অচিরেই আওয়ামী লীগ একঘরে হয়ে যাবে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নয়। যারা সত্যিকার অর্থেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে শামিল হতে চান তাদেরকে নিয়েই বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করা হবে। পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে দেশের জনগণ।
বর্তমান সংসদ নির্বাচিত নয় দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা এই ভুয়া সংসদে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে গেছেন তাদেরকে আমি প্রশ্ন করি কিসের সংসদে যাওয়ার জন্য আপনারা এত ব্যাকুল হলেন? এই সংসদে কি সত্যিকার অর্থে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আছে। যেখানে মানুষের ভোটেরই কোনো অধিকার নেই, সেখানে কীভাবে আপনি জনগণের কথা বলবেন?
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম।
এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. নেছারুল হক, জাসাস সহসভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, কৃষক দলের সদস্য হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।