জন্মনিরোধক পিল বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় । চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই আবিষ্কার এককভাবে মানবসমাজে নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।১৯৫০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম জন্মনিরোধক পিল আবিষ্কার হয়। এরপর ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি-নিষেধের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে জন্মনিরোধক পিলে আস্থা রাখছেন বিশ্বের ১৫ কোটির বেশি নারী।আবিষ্কারের পর থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের এই উপায় পরিচিত হয়ে ওঠে আধুনিকতার প্রতীক ও নারীবাদের মাইলফলক হিসেবে।তবে স্বাভাবিকভাবেই যে প্রশ্নটি অত্যন্ত জোরালোভাবে উঠে এসেছে, সেটি হলো—পুরুষের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি কী হবে?গত অর্ধশতাব্দী ধরে পুরুষের জন্মনিরোধক পিলের জন্য অসংখ্য পদ্ধতির প্রস্তাব করেছেন গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। তবে তা কোনোটিই ধোপে টেকেনি।চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হলেও এত বছরেও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি পুরুষের জন্য কোনো জন্মনিরোধক পিল।তবে সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, পুরুষদের জন্য মুখে খাওয়ার একটি পিল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেটি খেলে পুরুষের শুক্রাণুকে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিশ্চল করে দেওয়া সম্ভব।পিল গ্রহণের পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে শতভাগ। তিন ঘণ্টা পর পিলের কার্যকারিতা নেমে আসবে ৯১ শতাংশে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটির কার্যকারিতা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে।সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক পিল কতটা জনপ্রিয় হবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এ ছাড়া কনডমের বিকল্প হিসেবে এই পিল ব্যবহার করা হলে এইডসের মতো মরণব্যাধিগুলো ছড়িয়ে পড়বে খুব সহজেই।তবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই পিল বাজারে আসার পরই। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাজারে আনা সম্ভব হবে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক পিল।
পুরুষের জন্মনিরোধক পিল থামিয়ে দেবে শুক্রাণুর কাজ
