নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবার শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ শারদীয় উৎসব।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে মণ্ডপগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিহিত পূজা। এরপর দর্পণ বিসর্জন।ও নারীদের সিদূর খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় তূরাগ নদসহ আশেপাশের নদী ও জলাশয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবী দুর্গার বিসর্জন দিবেন পূজারীরা।হিন্দুশাস্ত্র মতে, এদিন দেবী দুর্গা মর্ত্যে ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে। মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তি বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন আগত পূজারীরা। এবার গাজীপুর মহানগরে ১২১টি পূজা মণ্ডপসহ জেলায় ৪৬০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। পূজার নিরাপত্তায় মণ্ডপে মণ্ডপে কাজ করছে পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের তৎপরতা দেখা গেছে।গাজীপুরে শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। কোনাবাড়ির দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে কুশল বিনিময় করেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল।এসময় তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বের কারিশমার কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা অনেক সজাগ থেকে পূজা মণ্ডপ পাহারায় ছিল। কোনো দুষ্কৃতিকারীদের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহতে তারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। ফলে সারাদেশে কোথাও পূজা মণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এসময় তার সঙ্গে পূজা উদযাপন কমিটির নেতা ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
