বাংলাদেশ ০১ অক্টোবর ২০২৫

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা

post

নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ২৭ মিলিয়ন পাউন্ডের মানবিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এ প্যাকেজের আওতায় পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সহায়তা প্রদান করা হবে।ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে এই সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়।এই সহায়তা প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ করা হবে।এছাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজার নারী ও কিশোরীদেরকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং যৌন, শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদেরও সহায়তা করা হবে।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, এ অর্থায়ন সরাসরি মাঠপর্যায়ে জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য যুক্তরাজ্যের এই নতুন সহায়তায় খাদ্য, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি ও জীবনরক্ষাকারী অন্যান্য সেবা দেওয়া হবে এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সহায়তা করা হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুতরা যাতে তাদের প্রাপ্য সমর্থন, সুরক্ষা, মর্যাদা এবং সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটে ৪৪৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি সহায়তা দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রচেষ্টায় অন্যতম নেতৃস্থানীয় দীর্ঘমেয়াদি অবদান।সর্বশেষ এই প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লন্ডনের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।এ অর্থায়ন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক এনজিওসহ বিশ্বস্ত বহুপাক্ষিক ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।সহায়তার মূল ক্ষেত্রগুলো হলো ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, খাদ্য সহায়তা, স্যানিটেশন, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা।যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো নিরসন এবং রাখাইন রাজ্যে এখনো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে থাকা মানুষদের জন্য অবাধ মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে টেকসই আন্তর্জাতিক সমন্বয় জরুরি।যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বও পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং উন্নয়ন, বাণিজ্য, জলবায়ু সহযোগিতা ও কমনওয়েলথের মাধ্যমে গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছে।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner