নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডাকসু নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি নিয়ে উচ্চ আদালত এ আদেশ দেন।তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগমী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।এস এম ফরহাদ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।এর আগে ডাকসু নির্বাচনে বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১’, ‘অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম রিটটি দায়ের করেন।এবারের ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা গত ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হয়। তালিকায় এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে করা রিটে তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।শুধুমাত্র ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে ডাকসু নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। ঠিক একই কারণে ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে- এই যুক্তিটাই রিটকারীর আইনজীবী আদালতে তুলে ধরেছেন।আসন্ন নির্বাচনে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার অংশটুকুর কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।এদিন আদালতে শুনানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ২০২০ সাল থেকে এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০২০ সাল থেকে তিনি শিবিরের কোন কোন পদে ছিলেন সেগুলো তিনি তুলে ধরেন। তিনি দেখানোর চেষ্টা করেন, এস এম ফরহাদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী। তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে শোনান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতাদের আত্মপ্রকাশ ঘটলো। তিনি বলতে চেয়েছেন, ঢাবি ছাত্র শিবিরের কমিটি ৫ আগস্টে আগে প্রকাশিত হয়নি। গুপ্ত রাজনীতের কারণেই এমনটা ঘটেছে।পুরো বিষয়টি যে একটি অমীমাংসিত বিষয় সেটি সবাই শিকার করেছেন।শুনানির পর আদালত রিটকারীকে বলেছেন, তার যদি কোনো ক্ষোভ বা আপত্তি থাকে তিনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে লিখিত আবেদন করতে পারেন। আবেদনটি সেখানে নিষ্পত্তি হবে। তারপরেও তার যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি হাইকোর্টে নতুন করে আবেদন করতে পারেন।এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৩০ অক্টোবর।
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত
