নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ নির্বাচিত সরকার ছাড়া ব্যাংকিং খাত সংস্কার সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন, অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকিং খাতে সংস্কার সময়সাপেক্ষ বিষয়, এটি আমরা করতে পারব না। নির্বাচিত সরকার এসেই এটি করবে।শনিবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দেশের অনেকেই প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা ব্যাংকগুলো ধ্বংস করে গেছে। এরকম ঘটনা পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে ঘটেনি।তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আর্থিকভাবে দুর্বল ১২টি ব্যাংককে ৫২ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এর আগে ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আনতে চেষ্টা করছি। তবে এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর আরো বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের হার বাড়িয়ে দিলে সবাইতো সঞ্চয়পত্র কিনবেন, তখন কেউ আর ব্যাংকে টাকা রাখবেন না।ব্যাংকগুলোতে লিকুইডিটির একটা ব্যাপার আছে। আমাদের তো ব্যালেন্স করে দেখতে হয়। আর সবাই যদি সঞ্চয়পত্র কিনে, তাহলে ব্যাংকগুলো কোত্থেকে টাকা পাবে।আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং খাতকে সংকটমুক্ত করা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বড় একটা উদাহরণ।প্রাইভেট সেক্টরের বড় এই ব্যাংকে কিন্তু এখন আস্থা ফিরে এসেছে। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটা আইন হয়েছে, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অ্যাক্ট।এই আইনের প্রথম শর্তটা হলো, যারা টাকা-পয়সা জমা দিয়েছে ব্যাংকে তাদের টাকা ফেরত দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কারো টাকা মার যাবে না, হয়তো সময় লাগতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংকের হয়তো ব্যবসা নাই, সেগুলো হয়তো সময় লাগবে। এগুলোর হিসাব করা হচ্ছে এবং আমরা কারিগরি সহায়তা নিচ্ছি কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয়।এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী, ওসি শাহীনূর ইসলামসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচিত সরকার ছাড়া ব্যাংকিং খাতে সংস্কার সম্ভব নয় : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
