নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন: সম্প্রতি ঘোড়ার গোশত বিক্রি করে আলোচনায় গাজীপুর মহানগরের হায়দারাবাদ এলাকার দুই বন্ধু মো. শফিকুল ইসলাম ও নূরুল্লাহ মামুন। জামালপুর ও রংপুর থেকে অল্প টাকায় ঘোড়া কিনে এনে ৩শ টাকা কেজি ধরে তারা বিক্রি করেন ঘোড়ার মাংস।চর্বি ছাড়া ও স্বাদে-গন্ধে অনেকটা গরুর মাংসের সঙ্গে মিল থাকায় এবং কম দামে কিনতে পারায় অনলাইনে এর ব্যাপক গ্রাহক চাহিদা বেড়েছে।এছাড়া আমাদের দেশে তেমন প্রচলন না থাকায় ঘোড়ার গোশত হালাল কি না সে প্রশ্নও উঠেছে।ফিকহের কিতাবে ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরূহ বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঘোড়া জিহাদের কাজে ব্যবহার হয়। তাই সাধারণভাবে খাওয়া শুরু করলে জিহাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।বর্তমানে জিহাদে ঘোড়ার ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।বিশেষ করে আমাদের দেশে তো নেই-ই। তাহলে ঘোড়ার গোশত খাওয়া বর্তমানে জায়েজ হবে কি? এ ব্যাপারে দেশের গবেষণামূলক উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার আলেমরা বলছেন, বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ব্যাপকভাবে ঘোড়ার ব্যবহার হয় না, কিন্তু তা একেবারে বন্ধও হয়ে যায়নি। তাই পুলিশ কেন্দ্রগুলোতে ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং নিয়মিত তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।তাছাড়া হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত খালিদ ইবনে ওলীদ (রা.) বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ার গোশত নিষেধ করেছেন। (সুনানে নাসাঈ ৮/২০৬; সুনানে আবু দাউদ ২/৫৩১)নিষিদ্ধতার মূল সূত্র হচ্ছে এই হাদিস। আর জিহাদের কাজে ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি একটি প্রাসঙ্গিক দলিলমাত্র।অতএব জিহাদের কাজে ঘোড়ার ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও তা খাওয়া উপরোক্ত হাদিসের কারণে মাকরূহ তানযীহি থাকবে।ঘোড়ার গোশত খাওয়া জায়েজ আছে। কিন্তু গণহারে ঘোড়ার গোশত খেলে জিহাদের সময় তা দ্বারা উপকার নিতে সমস্যা হতে পারে। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ।আমাদের দেশে সাধারণত ঘোড়ার গোশত খাওয়া হয় না, তবে কারো ইচ্ছে হলে বা রুচিতে ধরলে খেতে পারবেন।তবে আমাদের দেশে যেহেতু গরু-ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ নানা প্রজাতির পশুর গোশত সহজলভ্য, আবার ঘোড়ার সংখ্যা এমনিতেই কম।তাই নতুন করে ঘোড়ার গোশতের প্রচলন না ঘটানোই ভালো।
ঘোড়ার মাংস খাওয়া যাবে কি?
