নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ রেলের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে রাত ১২টা পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে উঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রাখা হয় সারাদেশের ট্রেন চলাচল।সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে অবসর ভাতা দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি পূরণ না হওয়ায় অবশেষে এ কর্মবিরতিতে গেলেন রানিং স্টাফরা।রানিং স্টাফের মধ্যে আছেন— ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা রেল ভবন থেকে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারিনি। রেল চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।রানিং স্টাফরা জানিয়েছেন, রানিং স্টাফদের কর্ম বিরতির ফলে যেসব ট্রেন রাত ১২টার পর প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব ট্রেনের যাত্রীরা।এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রণালয়।রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেন চলাচল বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানালেও দাবি আদায়ে অনড় রয়েছে কর্মসূচি ঘোষণা করা বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি।গণবিজ্ঞপ্তিতে রেল মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি-দাওয়া ও চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট। ইতোমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফগণের দাবি-দাওয়াসমূহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও অব্যাহত আছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ইতোমধ্যে তাদের রানিং এলাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইলেজ এলাউন্স পাবার জন্য সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। এ অবস্থায় পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচী প্রত্যাহার করে রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো যাচ্ছে।