নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
নিউইয়র্ক: পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে পানি পরিবেশন করা ‘পানি জাহাঙ্গীর’ ৪০০ কোটি টাকার মালিক। এ তথ্য হাসিনা নিজেই ফাঁস করেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হলেও তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। সেই জাহাঙ্গীরের এবার খোঁজ মিলেছে। তবে দেশে নয়, বিদেশে আছেন তিনি।সম্প্রতি আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়েরের ভেরিফাইড এক ফেসবুক পোস্টে দেখা পাওয়া যায় তার।তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। সেখানে বাংলাদেশের কনসুলেটে পাওয়ার অফ এটর্নি করানোর জন্য নথি জমা দিতে দেখা যায় তাকে। গোপনে ধারণ করা ছবিতে দেখা যায় টুপি দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করছেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু এরপরও তিনি নিজেকে আড়াল করতে পারেননি।জানা যায়, রাজনৈতিক তদবির আর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ তুলে নিজের ভবিষ্যৎ গড়েছেন পানি জাহাঙ্গীর। তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।সিআইডি জানিয়েছে, তার কাজ ছিল সুধা সদনে খাওয়ার পানি পরিবেশন করা। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে জাহাঙ্গীর নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দেওয়া শুরু করেন। এ পরিচয় ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের পদ, চাকরি, নিয়োগ ও বদলি–বাণিজ্য করেন জাহাঙ্গীর।নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ নিয়ে গড়েছেন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। প্রতারণার মাধ্যমে জাহাঙ্গীর ৪০০ কোটি টাকার মালিকসহ গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে।জাহাঙ্গীরের স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে রয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদ। যার মধ্যে ধানমন্ডিতে ২ হাজার ৩৬০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, ১টি গাড়ি, বিভিন্ন ব্যবসায় ৭৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ। তার ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরের নিজের নামে তার এলাকায় ৪ কোটি টাকার কৃষি ও অকৃষিজমি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেটে দুটি দোকান, মিরপুরে সাততলা ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট, গ্রামের বাড়িতে একতলা ভবন এবং চাটখিলে চারতলা বাড়ি রয়েছে। নোয়াখালীর মাইজদী শহরের হরিনারায়ণপুর এলাকায় তার পরিবারের একটি আটতলা বাড়ি রয়েছে; যার ১৯টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১৮টি ভাড়া দেওয়া।তবে, যার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের আগে থেকেই দুর্নীতির এতো অভিযোগ, সে দেশ ছেড়ে যায় কিভাবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।