নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলেই হবে না, এদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা নির্বাহী আদেশে বাতিল শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সেলিমা রহমান বলেন, একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা উঠিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সেটা করছে না। আমরা একই দাবি জানাচ্ছি।তিনি বলেন, ছাত্র জনতা আন্দোলনের পর আমরা একটা মুক্তি পেয়েছি, আমরা কি স্বস্তিতে আছি? আমরা একটা সংকট পেরে উঠেছি সত্যি কিন্তু একটা ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছি। সাধারণ মানুষ আজ স্বস্তি পাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দাবি দাওয়া নিয়ে অফিস ঘেরাও কর্মসূচি করছে। পতিত স্বৈরাচার দোসররা পরিকল্পনা মাফিক দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।বিএনপির এ নেত্রী বলেন, ছাত্র জনতা আন্দোলনের স্বপ্ন ছিল মানুষকে তার অধিকার ফিরে দেওয়া, বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের স্বপ্ন তিনবারের জাতীয় নির্বাচনের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তাদের ভোটের অধিকার ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যারা খুবই ভালো সজ্জন মানুষ। তারা কাজ করছে, আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে, যেগুলো আগে দরকার সেগুলো আগে করতে হবে। সব সংস্কার একেবারে সম্ভব হয় না। কোনো জনগণের ভোটে রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয়ে আসলে তারাই পারে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করতে।চলমান সংকট তৈরি করে গেছে পতিত স্বৈরাচার সরকার এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ সংকট বর্তমান সরকারের করেনি, তারা তো কাজ করে যাচ্ছে। পতিত সরকারের দোসরদের দেখছি অনেক জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে, তারা বিরাজ করছে, আবার তারা চেষ্টা করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে । তাদের দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।শুধু কি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলেই হবে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাদের হাতে দা, পিস্তল, অস্ত্র আছে। তারা কী যেখানে সেখানে হামলা করবে না? তাই বলছি, এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, শেখ হাসিনাকে আগে আইনের আওতায় আনতে হবে, তার বিচার করতে হবে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের প্রতি স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, তোমাদেরকে মনে রাখতে হবে, কোনো রকম রাজনৈতিক সংকট এনে দেশ অস্থিতিশীল করা যাবে না। তোমাদের যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে, সবাই মিলে তাদের অধিকার ফিরে পাক। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ও পেশাজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে দেশটা যাতে সুন্দর করা যায় সেদিকে চেষ্টা করতে হবে।চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণের একটি প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কি একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? নাকি যেই ব্যক্তিরা মানুষ হত্যা করেছে, যে ব্যক্তিদের দ্বারা বাংলাদেশের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, সেই ব্যক্তিদের প্রেতাত্মাদের দ্বারা ষড়যন্ত্রে আবদ্ধ হচ্ছেন?ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, পালিয়ে বেড়ানোর পর তার গলার আওয়াজ ছোট হচ্ছে না। যাদের হাতে অস্ত্র ওঠে। আমাদের ওপর নির্যাতন করে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপরে গুলি করে। শুধুমাত্র তাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে হবে না, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।