বিদেশ ফেরতদের করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ বাধ্যতামূলক
2020-11-15 18:38:07
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিদেশফেরত যাত্রীদের অবশ্যই কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে করে নিয়ে দেশে আসতে হবে। তা না হলে দেশে আসলেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’রবিবার (১৫ নভেম্বর) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন ১০০টি ভেন্টিলেটর মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ আবার বাড়ছে, এর মধ্যেই বিদেশ থেকে মানুষ আসছে, অনেকে বাইরে যাচ্ছেন। ভাইরাসের বিস্তার রোধেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর, স্থলবন্দর বা সমুদ্রবন্দর- যে পথেই দেশে আসুক। সব জায়গায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় কোয়ারেন্টিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে চীনে যখন প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও জানুয়ারি থেকেই বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। বিদেশফেরত যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা, স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও উত্তরার পাশের দিয়াবাড়িতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সেই সময় হাতে সিল লাগিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা নেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। মাঝখানে দুই মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন আবার কয়েকটি দেশ থেকে আকাশ পথে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে।
এদিকে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের সকল প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতালকে সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোনও প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল চালানো যাবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সিভিল সার্জনসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের নবায়নের সময় দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি বসাতে না পারলে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’অপরদিকে, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি জানান, তালিকা শেষ হলে সেটি সবার সামনে প্রকাশ করা হবে। গত ১০ দিন আগে সব জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এই বিষয়ে। কিছু তথ্য বাকি থাকলেও বেশিরভাগ জায়গার তথ্যই তাদের হাতে এসেছে।