প্রশ্ন রিজভীর,জিয়া ও শাজাহান কি এক জিনিস
2021-02-17 10:32:16
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খানের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। শাজাহান কি ছিলেন জানি না। ১৯৭২ সালের পর থেকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। জিয়াউর রহমান ও শাজাহান কি এক জিনিস? এই শাহাজান এখন মিটিং করছেন কিভাবে জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার করা যায়।বুধবার (১৭ ফেব্রয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠার জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শাজাহান খান আপনার খেতাব শুধু নয়, আপনার জীবনের জন্যও হুমকি হতে পারে।
তিনি বলেন, যদি একটা পটপরিবর্তন ঘটে, কারণ ৭২ থেকে ৭৫ আওয়ামী লীগের লোকজনদের খুঁজে খুঁজে মেরেছে এই শাহজাহান। কারণ তিনি একজন গণবাহিনীর নেতা। মাদারীপুরে জাসদের নেতা।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যে লোকের কোনো ধরণের ভদ্রতা, সভ্যতা, দৃঢ়তা নেই সে খেতাব বাতিল করবে না তো কি করবে? ডাকাতের কি কোনো মনুষ্যত্ব থাকে? জিয়াউর রহমানের মত একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম জনগণের ধমনীতে বয়, তার মধ্যে একজন বীর খেতাব শাহজাহান খানের মত একজন ডাকাত কেড়ে নিতে চায়।শাজাহানকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, আপনাদের মনে আছে? পরিবহনের বাস যখন মানুষ চাপা দিয়ে মারে তখন সেটাকে তিনি বৈধতা মনে করেন। পরিবহনের বাস শিশুদের থেঁতলে দিয়ে যায়, আর তিনি হাসতে হাসতে বলেন এগুলো কিছুই না।
রিজভী বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম একজন নন্দিত আইনজীবী, এক টকশোতে রফিকুল ইসলামকে এই শাজাহান খান বলেন, আপনার চোখ তুলে নেব। যে লোকের মুখ থেকে চোখ তুলে নেব, মারব, রক্তাক্ত করব এই শব্দ বের হয় সে তো ডাকাত, সন্ত্রাসী, মাফিয়া।এ সময় হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, জিয়ার রহমানের নাম সবার হৃদয়ে আছে। কয়েকজন সন্ত্রাসী মাফিয়া খেতাব বাতিলের কথা বললে জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক অবদান মুছে যাবে না।ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির শীর্ষ নেতা ও দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন হলে বাংলাদেশ থেকে একটা পাখিকেও ঢুকতে দেবে না’। আমি বলি বাংলাদেশের পাখিরা যাবে কেন? আপনাদের দেশের গবেষকরা বলছেন ‘শতকরা ৫০ ভাগের উপরে ভারতে কোনো স্যানিটেশন নেই। রেললাইনের ধারে, রাস্তার ধারে মানুষ বাথরুম করে’। আমাদের পাখিরা তো পরিষ্কার-পরিছন্ন। তারা কেন ইন্ডিয়াতে যাবে।