‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করবে ভাবতেও পারি না’
2021-02-10 09:14:15
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করবে কেউ এটা ভাবতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে গণমাধ্যমকে এই প্রতিক্রিয়া জানান। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩০ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে যান।ফখরুল বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিল করা হচ্ছে। এতে তিনি ও তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। এ গেজেট বাতিলের ব্যাপারে সিঙ্গাপুর থেকে দেশের গণমাধ্যম নিজের মতামত দেন ফখরুল।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেউ মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করবে, এটা আমরা ভাবতেও পারি না।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এ সিদ্ধান্ত অবমাননাকর বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে অতি জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। যারা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন কি না, আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। প্রতিবাদ কর্মসূচিও দেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।তিনি বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত গোটা দেশবাসী অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখ্যান করবে এবং এর প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। মহন এ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার এ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত হলো।গতকাল মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।