হামলার আশঙ্কায় বাসায় ইশতেহার ঘোষণা বরগুনার মেয়র শাহাদাতের
2021-01-19 18:19:28
হামলার আশঙ্কা জানিয়ে নিজ বাসায় ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বরগুনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া শাহাদাত হোসেন। রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনা পৌরসভার পুলিশ লাইন এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। বাসায় ইশতেহার ঘোষণার ব্যাখ্যা দিয়ে মেয়র শাহাদাত জানান, আমি অবরুদ্ধ। আমার ওপর যেকোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে। এ ভয়ে আতঙ্কে বাসা থেকে বের হতে পারছি না। আমার বাসাতে আমি অনিরাপদ। পরিবার পরিজন নিয়ে আমি এখন জিম্মি। আমার সমর্থকদের বাসায় গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়, পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়। এই নির্বাচনে আমার প্রাণহানি ঘটতে পারে, সেই ভয়েও আছি।আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র এ মেয়র প্রার্থীর দাবি, নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই হামলার শঙ্কায় আছেন তিনি। এ কারণে তিনি একমাত্র মেয়ে মহসিনা মিতুলকেও প্রার্থী করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক পৌর মেয়র শাহজাহান দুইবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পৌর মেয়র নির্বাচন করেছেন। তিনিও নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
ইশতেহারে গত ১০ বছর মেয়র থাকা শাহাদাত তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এবার নির্বাচিত হলে বরগুনা পৌরসভায় যেসব উন্নয়ন করবেন, তা ২৪ দফায় উপস্থাপন করেন। ইশতেহারে শিশু পার্ক, ওয়াক ওয়ে, ডিসি লেক, ট্রাকস্টান্ড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র শাহাদাত। এছাড়াও বেকারদের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এসময় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র শাহাদাত জানান, জিম্মি অবস্থার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। বাসায় পুলিশি টহলের দাবি জানানো হলেও পুলিশ মোতায়েন হয়নি। বরং পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক চলাফেরা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বরগুনা পৌরসভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। এ পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিস্কৃত) বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নৌকার বিপক্ষে বিজয় লাভ করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়নের তালিকায় তার নামও ছিল। কিন্ত এবারও তিনি মনোনয়ন পাননি। পেয়েছেন কামরুল আহসান মহারাজ।