অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে: ফখরুল
2020-12-30 12:47:08
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (৩০) ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে প্রহসনের নির্বাচন করেছে। দেশে একদলীয় সরকার কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশে লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ব্যাংক লুট করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। দেশের জনগণ এ থেকে মুক্তি চায়। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মুখে বলে কাজ করে উল্টো, তারা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি চায়। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এজন্য সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করিয়ে জনগণের সরকার নিয়ে আসবো।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের বাধ্য করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ইভিএম নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গা পড়ে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় পড়ে।’তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানসহ সারা দেশে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এ থেকে মুক্ত হতে হলে এই অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে।’বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে পথে পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।