অভাবের তাড়নায় ভিক্ষা করেন মুক্তিযোদ্ধা
2020-12-14 19:17:16
মুক্তিযুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখনো স্বীকৃতি পাননি সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দেবীগঞ্জ বাজারের মৃত তুফান বর্মণের ছেলে লক্ষ্মীন্দর বর্মণ।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম তালিকাভূক্ত না হওয়ায় জীবনের শেষ বয়সে এসে অযত্ন-অবহেলায়, অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে লক্ষ্মীন্দরের।কাধে-কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সহযোদ্ধারাও তার এই দুর্দশায় হতাশা ও অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করছেন।আজিজুল হকের স্ত্রী পূর্বপশ্চিমকে আক্ষেপ করে বলেন, আমার স্বামী জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তিনি অনেকের কাছে ঘুরেছেন। অনেকবার ইউএনও স্যারের কাছে পরিক্ষাও দিয়েছে। তিনি ২ বছর আগে অসুস্থ্য হয়ে মারা যান। আমি স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গৌরবের সঙ্গে বাঁচতে চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার (সাবেক) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান বলেন, মৃত আজিজুল হক একজন প্রকৃত মুক্তীযোদ্ধা ছিলেন। আমিসহ আরো কয়েক জন আজিজুল ভাইয়ের সাথে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেয়। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছরেও তার নামটি তালিকাভুক্ত হয়নি।মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো: মান্নান পূর্বপশ্চিমকে বলেন, আমার কাছে কেউ কোন আবেদন করেনি। যেহেতু সহযোদ্ধারা বলছেন তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সে হিসাবে যাচাই-বাছাই করে লক্ষ্মীন্দর ও আজিজুল হকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি আজিজুল হককে চিনি। কিন্তু তিনি ট্রেনিং এর কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। আর এমপি মহোদয় বলেছে ট্রেনিং এর কাগজ পত্র দেখাতে না পারলে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা যাবে না। আর লক্ষ্মীন্দরের পরিবার যদি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নামের জন্য আবেদন করে, আমরা সহযোগিতা করব সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি